May 18, 2024, 7:04 am

GAZA

গাজায় নিহতদের দাফনও করা যাচ্ছে না

Spread the love

ফিলিস্তিনের গাজার হাসপাতালগুলো ঘিরে বড় ধরনের অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানকার প্রধান দুটি হাসপাতালও বন্ধ হয়ে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে মানবিক বিপর্যয়ের। এমনকি হামলার কারণে একটি হাসপাতালে পড়ে থাকা শতাধিক মরদেহ দাফন করা যাচ্ছে না।

হামলা ও জ্বালানিসংকটের কারণে গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম হাসপাতাল আল-কুদসের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে বলে গতকাল রোববার জানিয়েছে ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট। একই কারণে আগের দিন সেখানকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

গত ৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর গাজায় জ্বালানি ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। এরই মধ্যে কয়েক দিন ধরে গাজা নগরীর হাসপাতালগুলো ঘিরে অবস্থান নেয় ইসরায়েলি ট্যাংক। হাসপাতালগুলোয় দফায় দফায় হামলা চালানো হচ্ছে।

গাজার হাসপাতালগুলোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ জাকোত বলেছেন, সেখানকার হাসপাতালগুলোয় এক ফোঁটা জ্বালানিও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, আল-শিফা হাসপাতাল নিরাপদ নয়। সেখানে মরদেহের কাছে পর্যন্ত যাওয়া যাচ্ছে না।

হামাস সরকারের উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউসেফ আবু আল-রিশ বলেন, ইসরায়েলের বিমান হামলায় আল-শিফা হাসপাতালের কার্ডিয়াক ওয়ার্ড ধ্বংস হয়ে গেছে। হামলায় দোতলা ভবনটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়।

মোহাম্মদ জাকোত বলেন, ‘আল-শিফা হাসপাতাল থেকে রোগী ও বাস্তুচ্যুত লোকজনকে সরিয়ে নিতে অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর জন্য আমরা মিসরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।’

দাফনের সুযোগও মিলছে না

জ্বালানিসংকট; বিদ্যুৎ না থাকা; চিকিৎসা সরঞ্জাম, খাবার ও পানির অভাবে গাজার হাসপাতালগুলোয় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে ইসরায়েলি হামলায় মৃত্যুর প্রহর গুনছেন সেখানকার লোকজন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আল-শিফা হাসপাতালে পাঁচ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অপরিণত দুই নবজাতকও রয়েছে। এই হাসপাতালে শতাধিক মরদেহ পড়ে আছে। হামলার কারণে এসব মরদেহ দাফন করার মতো পরিস্থিতি নেই।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category